বাংলাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৯ এপ্রি, ২০২৫

ধোবাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ধোবাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

 


ধোবাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ সকাল সাড়ে দশ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়েছে। সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে ছিলেন ওসি(তদন্ত) মোজাম্মেল হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উৎপল দাস,উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজহারুল ইসলাম কাজল,সদস্য সচিব আনিছুর রহমান মানিক,যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, আনসার ভিডিপি অফিসার নৃপেন্দ্র চন্দ্র,ধোবাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, উপজেলা শিবিরের সভাপতি তারেক রহমান, ছাত্র সমন্বয়ক ইয়াসিন আরাফাত তুষার,যুব অধিকারের সভাপতি আজিজ খান প্রমূখ।

২৮ মার্চ, ২০২৫

ধোবাউড়ায় ৫'শ পিস কম্বলসহ ৬৪ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক-১

ধোবাউড়ায় ৫'শ পিস কম্বলসহ ৬৪ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক-১

 


প্রতিনিধি : মাহিম আল খোকন 

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫'শ পিস কম্বলসহ ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ মালামালসহ এক জনকে আটক করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গীয় ফোর্স এসআই জিয়াউর রহমান, এএসআই রকিব রায়হান ও আঃ মজিদকে নিয়ে গামারীতলা ইউনিয়ন কলসিন্দুর বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে চেক পোস্ট বসানো হয়। এসময় ৫'শ পিস ভারতীয় কম্বল ও ১৫ বস্তা জিরা বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি পিকআপ ভ্যান, একটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেলসহ দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কাগগড়া গ্রামের ভারতীয় ব্যবসায়ী উসমান গনি (৪০)কে আটক করা হয়। পালাতক আসামি ময়মনসিংহ সদর থানার চর বড়বিলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ অজ্ঞাত ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করে আটককৃত উসমান গনিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ আল-মামুন সরকার বলেন, ভারতীয় চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

২৬ মার্চ, ২০২৫

ধোবাউড়ায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

ধোবাউড়ায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

 


প্রতিনিধি : মাহিম আল খোকন 

সূর্যোদয়ের সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী অফিসার নিশাত শারমিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা পুলিশ, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। পরে বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত, পুরস্কার বিতরণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন বিশ্বাস, অফিসার ইনচার্জ আল মামুন সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শফিউল আজম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন, কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

১৪ মার্চ, ২০২৫

ধোবাউড়ায় দোলযাত্রা উদযাপন

ধোবাউড়ায় দোলযাত্রা উদযাপন

 


 ধোবাউড়ায় উদযাপিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব দোলযাত্রা ও হোলি উৎসব। উপজেলার ঘোঁষগাও ইউনিয়নে শ্রী শ্রী কামাক্ষ্যা মাতৃতীর্থ মন্দিরে এই দোলযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। উৎসবে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দরা মন্দিরে আসেন। এখানে ভক্তরা আবির রঙে একে অপরে রাঙিয়ে আন্দদে মেতে ওঠেন। এ উপলক্ষ্যে পূজা অর্চনা, ধর্মীয় আলোচনা ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।দোলযাত্রা উৎসব উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছে বিশাল এক মেলা। বাংলাদেশে এ উৎসবটি দোলযাত্রা ও দোল পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। উৎসব উদযাপনের দায়িত্বে রয়েছেন সভাপতি কিরন চন্দ্র,সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র,আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস,উজ্জল চন্দ্র চন্দ,দিলীপ কুমার প্রমূখ।

৫ মার্চ, ২০২৫

ধোবাউড়ায় অগ্নিকান্ডে টিসিবি পণ্য পুড়ে যাওয়ায় ২৩০০ পরিবার পায়নি পণ্য

ধোবাউড়ায় অগ্নিকান্ডে টিসিবি পণ্য পুড়ে যাওয়ায় ২৩০০ পরিবার পায়নি পণ্য

 


গতরাতে মুন্সিরহাট বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে মায়ের দোয়া স্টোর ও মা স্টোর এর গোডাউন।এতে অন্তত ১৩ লক্ষ টাকার টিসিবি পণ্য পুড়ে গেছে। ফলে আজ ইউনিয়ন পরিষদে এসে পণ্য না পেয়ে অনেকে ফিরে গেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সালাউদ্দিন বিশ্বাস জানান,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০ ফেব, ২০২৫

ধোবাউড়ায়  ভোক্তা সংরক্ষন আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

ধোবাউড়ায় ভোক্তা সংরক্ষন আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

 

প্রতিনিধি : মাহিম আল খোকন 


ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সদর বাজারে মূল্য 

তালিকা প্রদর্শন না করে খাদ্য পণ্য বিক্রি ও  

পচা মিষ্টি সংরক্ষন করার অপরাধে পৃথক অভিযানে 

৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।


বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত শারমিন এ জরিমানা করেন।


কর্তৃপক্ষ জানান, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পচা খাবার পরিবেশন,  মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখার  অপরাধে  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯  এর বিভিন্ন ধারায় ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আজ সচেতনতারলক্ষে সাময়িক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আইন অমান্যকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে  বলে জানান।

১৪ ফেব, ২০২৫

ময়মনসিংহে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল ১৫ই ফেব্রুয়ারি

ময়মনসিংহে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল ১৫ই ফেব্রুয়ারি

 

    ময়মনসিংহ প্রতিনিধি



ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে ওয়াজ মাহফিলে আসছেন বিশ্বনন্দিত ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে ১৫ই ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রধান মুফাসির হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। নগরীর ২২টি স্থানে বড় পর্দায় সরাসরি প্রচার করা হবে মাহফিল। আজহারীর মাহফিলকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট, ময়মনসিংহ। এতে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন বলেন, মিজানুর রহমান আজহারী কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন। তিনি বিশ্ববরেণ্য একজন ইসলামিক স্কলার। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তার আগমনের দিন ময়মনসিংহে লাখ লাখ মানুষের আগমন হবে। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। সেজন্য তিনি সবার কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন। 
বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে শহরে যানবাহন চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওইদিন। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহনকে আটকে দেয়া হবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ নগরের মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহে। সেক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপাস ব্যবহারের অনুরোধ জানান কামরুল হাসান মিলন। ওইদিন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। তবু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ওইদিন মাহফিলে অংশ নেয়া মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কারের মতো দামি জিনিস ব্যবহার না করতে বলেন তিনি। পুরুষরাও প্রত্যেকে নিজের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেন বিশেষ সতর্ক থাকেন। 
মাহফিলের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সার্কিট হাউজ মাঠ। দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও পুরো মাঠটিতে অবস্থান নিতে পারবেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। থাকবে সিসি ক্যামেরা। ২২টি স্থানে বড় পর্দায় সরাসরি প্রচার করা হবে মাহফিল। এ মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলো একযোগে কাজ করছে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সঙ্গে আয়োজকদের সভা হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হবে মাহফিলের কার্যক্রম। শেষ হবে আসরের নামাজের পর।

১০ ফেব, ২০২৫

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্সের কারামুক্তি দিবস পালন ধোবাউড়ায়

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্সের কারামুক্তি দিবস পালন ধোবাউড়ায়


 
ধোবাউড়া প্রতিনিধি :


 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এর প্রথম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ২০২৩ সালে ৮ নভেম্বর  রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, এবং ২০২৪ সালে ১০ ফেব্রুয়ারী কারামুক্ত হন তিনি।


আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি  খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম কাজল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য আনিছুর রহমান মানিক,  মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন খান, ফরহাদ রব্বানী সুমন,  বিএনপির নেতা আব্দুল কুদ্দুস,  আব্দুল ওয়াহেদ,  বাবুল মিয়া,  জাকির হোসেন টুটন, উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও যুবদল নেতা আব্দুল মোমিন শাহীন, কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল,  সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন, যুবদল নেতা আনোয়ার ইসলাম টুটুল, আরিফ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক  জালাল উদ্দীন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।



অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান।


বৈঠকে তিনটি শহীদ পরিবার ও তিনজন যোদ্ধা বক্তব্য দেন। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্তি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের ইতিহাসের স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। এই স্বীকৃতিটা জাতির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা।’

শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।’

সব হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে।

‘আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামব না। আমরা যারা অপরাধী, তাদের পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব। যারা অপরাধী নয়, পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো নয়, তাদের মানুষ করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাব। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’

ওই সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আহ্বান জানান, দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে।

বৈঠকে আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন এবং আহতগণ ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

প্রতিটি শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাইয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

জুলাই যোদ্ধারা দুটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন।

গুরুতর আহতদের ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী এককালীন ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন ও মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।

‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন।

জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তারা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এখন পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

২৭ জানু, ২০২৫

হাসনাতকে নিয়ে সারজিস আলমের স্ট্যাটাস

হাসনাতকে নিয়ে সারজিস আলমের স্ট্যাটাস

 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সাহসিকতার প্রসংশা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে দেওয়া স্ট্যাটাস তিনি লিখেছেন, আশপাশে এমন বহু শত্রু আছে যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এইটা জানার পরেও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে। অন্য কেউ এই সাহস করে নাই। সাহস করেছে হাসনাত আবদুল্লাহ।

‘সাহসটা করার জন্যে হাসনাতকে মাথায় তুলে ফেলতে হবে সেটা বলছি না, তবে ন্যূনতম এপ্রিশিয়েটটা অন্তত করতে শেখেন। হয়তো ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারতো। সবচেয়ে বড় কথা উদ্দেশ্য সৎ ছিল।’

সারজিস আলম আরও লিখেছেন, এই ছেলেটার (হাসনাত) সমস্যা হলো এর মাথা গরম আর সবসময় গ্রেটার পার্পেপেক্টিভ চিন্তা করে। কিন্তু সত্যি এটাই যে, মাথা গরম বলেই সেই জুলাইয়ে ভিসি চত্ত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর ছোররা বুলেটে ছোটাছুটি যাচ্ছিল তখন এই ছেলেটা সর্বপ্রথম স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ওই পুলিশের দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে এগিয়ে যায় আর বলে ‘we are open to killed’! ঠিক যেমনিভাবে গতকাল গিয়েছিল।
হাসনাত সেই জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রাজাকার-রাজাকার মিছিলের সামনের সারিতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যখন অনেকেই নিজেকে সেফ জোনে রেখেছিল। এই ছেলেটাই সর্বপ্রথম এবং একা সচিবালয়ে আনসারলীগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে এবং পরবর্তীতে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সচিবালয় অনেকটা সুরক্ষিত হয়ে ওঠে। এই মাথা গরম, ক্ষ্যাপা ছেলেটার দোষ হচ্ছে যখনই কোথাও অস্থিতিশীল অবস্থা দেখা দেয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায় তখনই কোনো কিছু চিন্তা না করে সমাধানের জন্য ছুটে যায়। হোক সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ কিংবা অন্য কোথাও।

জাতীয় নাগরিক কমিটির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, আপনারা যারা শুধু ঘরে বসে স্যোশাল মিডিয়ার ঝড় তুলতে পারেন তাদের মতো সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই যে, এই মাথা গরম স্বভাবওয়ালা ক্ষ্যাপা তরুণ প্রজন্মের কারনেই এই নতুন বাংলাদেশ।

‘কতজনের এখন কতরকম স্বার্থ আর ধান্দা সেটা আমরা বুঝি, অপ্রত্যাশিত কিছু হলে এরা যে আবার গর্তে যাবে সেটাও জানি। কিন্তু দিনশেষে চোখের সামনে রক্ত আর হাজারো জীবনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হাসনাতরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের মতো গুটিকয়েক ভন্ড, সুবিধাবাজ, কালপ্রিট কি বলল আর কি বিহেভ করল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। হাসিনার পোষারা এর চেয়ে কম বলেনি বা করেনি।’

সারজিস আলম আরও লিখেছেন, মিনিমাম কমনসেন্স থাকলে বোঝা উচিত কারা করসে, কেন করসে। রকেট সাইন্স না বোঝাটা। We are Hasnat & proud to be a fellow-fighter of Hasnat.


ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

ঢাবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দাবি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

 

সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী।

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের যে সংঘাত, সেই সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর নিউ মার্কেট পুলিশের ‌‘হামলার’ ঘটনায় নিউ মার্কেট জোনের এসি, থানার ওসি এবং জড়িতদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. সংঘর্ষ চলাকালীন ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ এবং ‘অশালীন অঙ্গভঙ্গি’ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. ঢাকা কলেজের সঙ্গে সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সমন্বয়ে ঢাকা কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে হবে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের মধ্যকার এই সংকট নিয়ে আমরা বারবার রাস্তায় নেমেছি। আমরা বারবার বলেছি, আমাদেরকে একটা সমাধান দেন। কিন্তু কোনো সমাধান দেওয়া হয়নি।

‘এই সংকটের যতদিন না একটি সৃজনশীল সমাধান হয়, ততদিন শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষার্থীর মুখোমুখি অবস্থান চলতে থাকবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।’

এর আগে রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা কলেজের সংঘর্ষ শেষে মধ্যরাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের সাত পয়েন্টে ব্লক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যদিও আজ সেটি তারা পালন করেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ সজিব উদ্দীন বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা গতকালকের ঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচিটি উইথড্র করেছি। এখন আমরা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি।

‘এই চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমদকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আমরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিব।’

গতকালের সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে জানতে চাইলে সজিব উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দৃশ্যমান ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আর নরমালি পঞ্চাশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’

সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল নীলক্ষেতে যখন দুই পক্ষের ধাওয়া এবং পাল্টা ধাওয়া চলছে, তখন আমি পুলিশের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে ফোন দিই যেন তারা দুই পক্ষকে সাউন্ড গ্রেনেন্ড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রটোকল দিয়ে আমাদের দিকেই শুধু সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

‘এরপর আমাদের বোনেরা যখন ইডেন কলেজ থেকে বের হয়, তখন নীলক্ষেতে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের বোনদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। আমরা জড়িতদের শাস্তি চাই।’