খেলাধুলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
খেলাধুলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৭ জানু, ২০২৫

খুলনাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় বরিশালের

খুলনাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় বরিশালের

 


জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ফরচুন বরিশাল। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করা দলটি আজ টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়টি এসেছে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের। 

মিরপুরে ১৮৮ রান তাড়ার শুরুটা বরিশালের ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

৯১ রানের দুর্দান্ত জুটিটাতে অবশ্য মালানের অবদানই বেশি। অধিনায়কের ২৭ রানের বিপরীতে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মালান। ইংল্যান্ডের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার ১৭০.২৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৩ ছক্কা ও ৮ চারে। এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ১১ রান করেছিলেন তামিম-তাওহিদ হৃদয় (১১)।

তামিম-মালানের দারুণ জুটিতে জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার বরিশালের। তবে ১৭তম ওভারে দুই ভায়রা মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম আউট হলে রোমাঞ্চের সম্ভাবনা জাগে। কেননা তখন সমীকরণ দাঁড়ায় ২২ বলে ৩৬ রানের। তবে সেই রোমাঞ্চকে মুহূর্তেই ঠাণ্ডা করে দেন মোহাম্মদ নবী ও ফাহিম আশরাফ।

১৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে দেন তারা। নবীর ১৫ রানের বিপরীতে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম। এতে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে খুলনা টাইগার্স। দলকে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেন নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

দুজনে মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রানে মিরাজ আউট হলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেই থেমেছেন নাঈম। ১৮৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায়।

নাঈম-মিরাজের দারুণ শুরুটা পরে টেনেছেন তাদের অন্য সতীর্থরা। পরের পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে শুধু মোহাম্মদ নওয়াজ (২) ছাড়া প্রত্যেকেই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছেন। দুই অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্টো করে সমান ২০ রান। অ্যদিকে আফিফ হোসেনের ৩২ রানের বিপরীতে ঝোড়ো ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ২২৫.০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস সাজিয়েছেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে। তবে তাদের বিশ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের কল্যাণে খুলনা বড় সংগ্রহ পেলেও দল হেরে যাওয়া তা আর কাজে আসেনি।



২২ জানু, ২০২৫

তৃণমূলে খেলাধুলা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় আমিনুল হকের

তৃণমূলে খেলাধুলা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় আমিনুল হকের


 ডিআরইউ চত্বরে আয়োজিত শীতকালীন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন আমিনুল হক।

বিএনপি সবসময় বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ডিআরইউ চত্বরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শীতকালীন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল এই প্রথম সরাসরি কোনো খেলাধুলার আয়োজন করেছে। আমরা সবসময় চাই বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলা হবে অন্যতম মাধ্যম। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা সুস্থ জাতি গড়তে চাই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সব আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন। দেশ গঠনে সাংবাদিকের ভূমিকা অপরিসীম। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও গুরুত্ব দেয়।

আমিনুল হক বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার পরে আমরা শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেষ করেছি। মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট চলমান রয়েছে এবং গত ১০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে শহীদ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান ও সময়ের আলো প্রত্রিকার প্রকাশক ফয়সাল আর ফেরদৌস।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ফয়সাল বলেন, ডিআরইউ- এই সংগঠনে পেশাদার সাংবাদিকরা রয়েছেন। তাদের বিনোদনের জন্য এই ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এটা সাংবাদিকদের কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দেবে। সময়ের আলো সব সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, আমিনুল হক বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাকে আমরা সবাই একজন সেরা গোল কিপার হিসেবেই চিনি। তিনি এখন রাজনীতিতেও ভালো করছেন। আশা করি ওনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি গাযী আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মো. সলিম উল্ল্যা (এস. ইউ সেলিম) উপস্থিত ছিলেন।