মতামত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মতামত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৩০ জুন, ২০২৫

 ১২ বছর পর রায়, ২০১৩ সালের রাজনৈতিক মামলায় অধ্যাপক কাজলসহ ৪৬ আসামি খালাস

১২ বছর পর রায়, ২০১৩ সালের রাজনৈতিক মামলায় অধ্যাপক কাজলসহ ৪৬ আসামি খালাস


 ১২ বছর পর রায়, ২০১৩ সালের রাজনৈতিক মামলায় অধ্যাপক কাজলসহ ৪৬ আসামি খালাস

স্টাফ রিপোর্টারঃ

২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় দায়ের হওয়া বহুল আলোচিত মামলায় দীর্ঘ ১২ বছর পর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ডিজিটাল প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম কাজলসহ মোট ৪৬ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) ময়মনসিংহের একটি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ মে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল চলাকালে হালুয়াঘাটে সহিংসতার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তৎকালীন শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবীসহ স্থানীয় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, সড়ক অবরোধ, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান ধোবাউড়া  ডিজিটাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি  অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম কাজল, সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, প্রফেসর রুকুনুজ্জামান রুবেল, সুজন তালুকদার, মুশফিক তালুকদার, লুৎফর ফকির, এমদাদ ফকির, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল ফজল, মারফত আলী, কামরুল হাসান সুমন, জনি, এনামুল, এমদাদ বিশ্বাসসহ অনেকে।

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। সাক্ষ্য ও উপস্থাপিত আলামতে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি।”

রায় ঘোষণার পর অধ্যাপক কাজল বলেন, “এটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা। ১২ বছর ধরে হয়রানির শিকার হয়েছি। অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন বলেন, “এই মামলার শুরু থেকেই এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। আজ সত্যের জয় হয়েছে।”

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরাও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে তারা সামাজিকভাবে আবার সম্মান ফিরে পেয়েছেন।

রায়কে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই একে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্তদের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

৩ জুন, ২০২৫

ধোবাউড়ায় ৭০০ ইমামের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন সালমান ওমর রুবেল

ধোবাউড়ায় ৭০০ ইমামের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন সালমান ওমর রুবেল

 


 ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ | নিজস্ব প্রতিবেদক


ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় প্রায় ৭০০ মসজিদের ইমামের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও সমাজসেবক আলহাজ্ব সালমান ওমর রুবেল।

মঙ্গলবার  ধোবাউড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে  অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ইমাম সংগঠনের সভাপতি মুফতি ফজলুল হক এবং সঞ্চালনা করেন ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল ফজল।

ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সালমান ওমর রুবেল বলেন, “ইমামরা সমাজের আলোকবর্তিকা। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এই ঈদ উপহার তাদের জন্য ছোট্ট এক শুভেচ্ছা।”

স্থানীয় ইমামগণ এ উপহার পেয়ে আনন্দিত হন এবং সালমান ওমর রুবেলের জন্য দোয়া করেন।

২ ফেব, ২০২৫

অভ্যুত্থানের কড়চা এবং উন্নতির খতিয়ান

অভ্যুত্থানের কড়চা এবং উন্নতির খতিয়ান

 

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছবি দৈনিকে বের হয়েছে; ছবির প্রদর্শনী হয়েছে; কয়েকটি অ্যালবামও বের হয়েছে। তিনটি অ্যালবাম আমরা আগ্রহের সঙ্গে দেখলাম। একটির প্রকাশক প্রথম আলো পত্রিকা, আরেকটি প্রকাশ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তৃতীয়টির প্রকাশক হিসেবে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম আছে বটে, তবে প্রকাশ করেছেন আলোকচিত্রশিল্পী মনজুর হোসেন নিজেই। তিনটিতেই দেখা যাচ্ছে তরুণদের সাহস ও দৃঢ়তা; এবং সেই সাহসের প্রতীক হচ্ছে রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ, পুলিশকে নিবৃত্ত করতে যে তাদের সামনে দু’হাত বিস্তৃত করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতিহাসের অন্তর্গত হয়ে গেছে। প্রথম আলোর সংকলনটির নাম ‘মুক্ত করো ভয়’; চারণের সংকলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হামার ব্যাটাক মারলু কেন’, যা সাঈদের মায়ের হৃদয়মথিত প্রশ্ন। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার যে তার শাসন বজায় রেখেছিল, সেটা জয় দেখিয়ে নয়, ভয় দেখিয়ে বটে। 

তবে সবকিছুরই তো শেষ আছে, এমনকি ভয় দেখানোরও। ভয় দেখানো যখন চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, ভয় তখন গেছে ভেঙে তরুণদের সাহসের সামনে। ‘মুক্ত করো ভয়’-এর শুরুতেই দেখি আবু সাঈদেরই বয়সী এক তরুণ একাকী দাঁড়িয়ে আছে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনীর সামনে। সে নির্ভয়, পুলিশ বাহিনীই বরং বিব্রত। অ্যালবামের ভেতরে আরেকটি ছবি, সেটি চট্টগ্রামের। পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে, তারপরে একটি মেয়ে একাকী দাঁড়িয়ে নির্ভীক ভঙ্গিতে সশস্ত্র পুলিশের উদ্দেশে বলছে, ‘আন্দোলন করা আমাদের অধিকার, এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না।’ আরেকটি ছবি একটি বুলেটের; ছবিটির বর্ণনা এই রকম: ‘জানালা দিয়ে ছুটে আসা এই বুলেট ১১ বছরের শিশু সামিরের চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার খুলি ভেদ করে দেয়ালে লাগে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।’
‘চারণ’-এর সংকলনে মুখোমুখি দুটো মুখচ্ছবি ছাপা হয়েছে। একটি ১৯৭১-এর, ইয়াহিয়া খানের; অপরটি ২০২৪-এর শেখ হাসিনার। একজন একাত্তরের ঘাতক, অপরজন একাত্তরের বাঙালিদের প্রধান নেতার কন্যা। একজন পাঞ্জাবি পুরুষ, অপরজন বাঙালি নারী। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ছবি দুটি; এবং দেখা মাত্রই যা চোখে পড়ে সেটা হলো, মুখচ্ছবি দুটির সাদৃশ্য। প্রথমজন যেন ফিরে এসেছেন দ্বিতীয়জন হয়ে। 
উভয় সংকলনেই ছাত্রলীগের মহাবীরদের বীরত্বের জলজ্যান্ত ছবি ছাপা হয়েছে। লাঠি দিয়ে তারা প্রহার করছে তাদেরই বয়সী দুটি মেয়েকে, যারা মিছিলে ছিল। পুলিশ ছাত্রীদেরও লাঠিপেটা করছে, এমন দৃশ্য আগে দেখেছি কিন্তু ছাত্ররা সহপাঠী মেয়েদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, এমন ছবি আগে চোখে পড়েনি। দুটি সংকলনেই দেখতে পাচ্ছি একজন রিকশাচালককে, যিনি নিজের রিকশার ওপর দাঁড়িয়ে স্যালুট করছেন শিক্ষার্থীদের মিছিলকে। এই অভিবাদন সকল মেহনতি মানুষেরই। 

ওপরের ঘটনাগুলো উদাহরণ মাত্র। এসব মানুষ পরিসংখ্যানের অংশ হয়ে যাবে। কেউ কেউ হয়তো রয়ে যাবে হিসাবের বাইরেই, কিন্তু প্রত্যেক মানুষই তো জীবন্ত ছিল; তাদের বাঁচার অধিকার ছিল। যে বাস্তবতা এখানে উন্মোচিত হলো, সেটা অত্যন্ত সুবিস্তৃত ও সুগভীর। সমাজ শ্রেণিতে শ্রেণিতে বিভক্ত; এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের ওপর দিয়েই ঝড়টা সবচেয়ে বেশি জোরে বয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন, রাজনৈতিক আন্দোলনেও তেমনি তাদের ক্ষতিটাই ঘটে সর্বাধিক পরিমাণে। সেই ক্ষতির পূরণ ঘটে না। উল্টো দেখা যায় সুবিধাভোগীদেরই সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
এবারের অভ্যুত্থানে পুলিশ বাহিনীকে হুকুম ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল নির্বিচারে মানুষ হত্যার। দেখামাত্র গুলি করা যাবে, এমন আওয়াজও শোনা গিয়েছিল এবং সেটা যে ফাঁকা আওয়াজ ছিল, তাও নয়। শিশুহত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, ঘরের ভেতরে গুলি চালানো– এসব ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি; এবার দেখা গেল। এই নিষ্ঠুরতার প্রতিক্রিয়া হয়েছে; পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও আহত ও নিহত হয়েছেন। তাদের ৪৪ জন নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ বের হয়েছে। এই ঘটনাও অভূতপূর্ব। বোঝা যাচ্ছে, আমরা চরম অবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। 

অভ্যুত্থানের সময় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পুলিশের থানা ও ফাঁড়ি। অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। লুট হয়েছে অস্ত্র। প্রাণভয়ে পুলিশকে পালাতে হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুলিশ বাহিনীর ক্ষতিই হয়েছে সর্বাধিক। পুলিশের নতুন প্রধান তাঁর বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের অত্যুৎসাহের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। র‍্যাবের নতুন প্রধান তো গোটা বাহিনীর পক্ষেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমাপ্রার্থী। একদা র‍্যাব গঠন করেছিল যে বিএনপি, তারাই এখন ওই বাহিনীর বিলুপ্তি চাইছে। কিন্তু এসব পরিবর্তন জনদুর্ভোগ মোটেই কমাবে না, যদি না রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী-আমলাতান্ত্রিক চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। পোশাক বদল হতে পারে, এমনকি নামেও পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু জনপীড়নের জন্য সাজসরঞ্জাম এবং উৎসাহের কোনো ঘাটতি যে দেখা দেবে না, সেটা নিশ্চিত। 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় ঘটনা আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া। অনেকেই আশা করেছিলেন, কমলা হ্যারিসই জিতবেন। সেটা হলো না; ট্রাম্পই জিতলেন। আসলে এটা ট্রাম্পের জয় যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি কমলা হ্যারিসের পরাজয়। উন্মোচিত হলো এই সত্য– আধুনিক আমেরিকার অভ্যন্তরেও রক্ষণশীলতা কার্যকর শুধু নয়; বৃদ্ধিপ্রাপ্তও হয়েছে। 
কমলা বলছিলেন, তিনি লড়ছেন গণতন্ত্রের জন্য; আর ট্রাম্প বলছিলেন, তাঁর সংগ্রাম উন্নতির লক্ষ্যে। গণতন্ত্রকে উন্নতির পথে অন্তরায় হিসেবে দাঁড় করানো রক্ষণশীলদের পরীক্ষিত কৌশল। গণতন্ত্র পরে দেখা যাবে, আপাতত উন্নয়ন তো হোক– এই মনোভাব অস্বাভাবিক নয় এবং এটাকে পুষ্ট করাও সহজ। কারণ উন্নতি কে না চায়! ধনীও চায়, গরিবও চায়। ধনী চায় আরও ধনী হবে। গরিব চায় সেও গরিব থাকবে না; ধনী হবে। তাই দেখা গেছে, আমেরিকার সেরা ধনীরা তো বটেই, বেকার-অর্ধবেকার-অর্ধশিক্ষিতদের একটা বড় অংশও ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছে। ওদিকে ট্রাম্প অন্য যে আওয়াজগুলো দিয়েছেন, সেগুলো রক্ষণশীলদের তো বটেই, গরিব মানুষকেও উদ্বেলিত করেছে। তিনি বলেছেন, আমেরিকাকে আবার ‘বড়’ করা হবে এবং তিনি না জিতলে আমেরিকা টিকবে না। জিতলে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের কী করে তাড়াতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবেন। এই ধরনের বর্ণবাদী ও জাতীয়তাবাদী রণধ্বনি অনেকের কানেই মধুর শোনায়; শুনিয়েছেও বৈ কি। নইলে ট্রাম্পের মতো নিকৃষ্ট নৈতিক মানের, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এবং কোনো কোনো অভিযোগ সঠিক বলে প্রমাণিত, ব্যক্তি কী করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটিতে চার বছর ধরে রাজত্ব করবার জন্য নির্বাচিত হন? গত শতাব্দীর শেষ দিকেও তাঁর মতো দুষ্ট চরিত্রের কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া তো দূরের কথা, দলীয় মনোনয়নপ্রার্থী হতেও সাহসী হতেন না। তাঁর মাপের একজন মানুষ আজ যে নির্বাচনে জিতে এলেন, তা যে কেবল রক্ষণশীলতার জয়, তা-ই নয়; এটি হলো ফ্যাসিবাদের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক ধাপ অগ্রগমন। সমাজতন্ত্রী বার্নি স্যান্ডার্স আগের দুই নির্বাচনে তবুও দলীয় হিসেবে মনোনয়নের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন, এবার তিনি এমনকি সেটাও হননি। উন্নতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে কোনো অসুবিধা নেই।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়