তথ্যপ্রযুক্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
তথ্যপ্রযুক্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২ ফেব, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা: সিপিডি

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা: সিপিডি

 






বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, গত ছয় মাসে অর্থনীতিতে তেমন চাঞ্চল্য ফেরেনি। অন্তর্বর্তী সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫, সংকটময় সময় প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।’

সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। বিগত সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি বেকারত্ব পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছিল। সমাজে বৈষম্য বেড়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে পারেনি।

এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল, সৈয়দ ইউসুফ সাদাতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থাটি বলছে, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনও সরকার বেশি দিন থাকতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায় তারা।

অনুষ্ঠানে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছে। আমরা চাই সরকার ঘোষিত রোডম্যাপের মধ্যেই নির্বাচন হোক। যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর একই সময় তা ছিল ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এতে দেখা যাচ্ছে, রাজস্ব আহরণে উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, বেসরকারি বিনিয়োগে দৃশ্যমান কোনও উন্নতি নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবে সফলতা এখনও দেখা যায়নি।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জনসম্মুখে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি প্রকাশ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব চুক্তি উন্মুক্ত করা হয়নি।’

সিপিডি বলছে, বিগত সরকারের সময়ের ২৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নথি চেয়ে সম্প্রতি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিল সিপিডি। তবে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে এই যুক্তি তুলে ধরে ২৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য অন্তর্বর্তী সরকার দেয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সরকার এমন সময়ে ভ্যাট বাড়াচ্ছে, যে সময়ে সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে পিষ্ট। মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণ। অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে সুযোগ এসেছিল প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি। তারা পরোক্ষ করের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ যে কর দেয়, সরকার পুরোপুরি পায় না। সরকারের সুযোগ ছিল এসব জায়গায় হাত দেওয়ার, কিন্তু দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলেনি ভ্যাট বাড়াতে। তারা বলেছে, যেকোনও উপায়ে রাজস্ব বাড়াতে। কিন্তু সরকার প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়ে পরোক্ষ কর বাড়াচ্ছে।’


২১ জানু, ২০২৫

টেলিকম খাত নিয়ে মার্চের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব দেবে বিটিআরসি

টেলিকম খাত নিয়ে মার্চের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব দেবে বিটিআরসি


টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক এবং ব্যবসা পরিচালনায় লাইসেন্স পুনর্বিন্যাস করতে আগামী মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

তবে এক্ষেত্রে বিদ্যমান লাইসেন্সিংয়ে রূপান্তর, টেকসই বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি এবং রেগুলেশনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কমিশন চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান। এসময় বিটিআরসির কমিশনার, মহাপরিচালক ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের চাহিদা অনুযায়ী টেলিকম খাতের লাইসেন্স সংস্কারে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। এ লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রোডম্যাপ পুনর্বিন্যাস কমিটি। এরই মধ্যে বিটিআরসি কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইকবাল আহমেদের নেতৃত্বে তিনটি বৈঠক করেছে সংস্কার কমিটি।

দেশের টেলিকম খাতকে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতা-বান্ধব করতে গ্রাহক-ব্যবসা-সরকার এই ত্রিভূজ অংশীজনদের নিয়ে এই সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। ব্যবসা বাঁচাতে নয়, গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় কমিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমদাদ উল বারী বলেন, ২০২৭ সাল নাগাদ লাইসেন্স নবায়ন সীমা অতিক্রমের পর এই সংস্কারটি কাজ করবে। আর নীতিমালাটি টেকসই করতে গ্রাহকের লেন্স দিয়ে তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে রেগুলেশনের নামে কোম্পানিগুলোকে রেগুলেট নয়; ফ্যাসিলেট ও স্পন্সর করা হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও জানান, ডিজিটাল উন্নয়ন সহযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হবে। এর ওপর ভিত্তি করে নীতিমালা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার ও টেকসই নীতিমালার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হচ্ছেন না। জটিল ও টুকরো টুকরো নেটওয়ার্ককে এক সুতোয় গাঁথতে রিভিউ করে সহজ, সক্ষম ও সাশ্রয়ী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। তরঙ্গের ওপর চাপ কমিয়ে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, বড় পরিসরের ডিজিটল সেবা মেটাতে ফ্রিক্সড ব্রডব্যান্ডের পথে থাকা বাধা কাটিয়ে তুলতে যেন নতুন প্রযুক্তি সহজেই অভিযোজিত হয় সে দিকটায় গুরুত্বারোপ করতে অ্যাকটিভ শেয়ারিং উন্মুক্ত করা এবং সবুজ প্রযুক্তির দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাদ দেওয়া এবং সুস্থ প্রতিযোগিতায় বাধা সৃষ্টিকারী ভার্টিক্যাল লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।

ফাইভ-জি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কবে কখন চালু হবে তা এখনই বলতে পারবো না। তবে চালু করার জন্য বিভিন্ন কনসালটেশন বৈঠক করছি। কাজ করছি। পাশাপাশি জুনের মধ্যে ৭০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ নিলামের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স সরকারের ব্যাপার, বিটিআরসির নয়। তবে ভ্যাট-ট্যাক্স যতোটা কমানো যায়, ততোটা কমানো দরকার। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়া দরকার। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার দায় পোস্টদাতার, সোশ্যাল মিডিয়ার নয়।