১৩ ফেব, ২০২৫

ধোবাউড়ায় বালুবাহী লড়ি ও অটো স্টেশনে ত্রিমুখী যানজট

হুমকিতে সাতারখালী নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু


 মাহিম আল খোকন স্টাফ  রিপোর্টার :


ময়মনসিংহে ধোবাউড়া বাজার ব্রীজ মোড়ে ত্রিমুখী যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ। অতিরিক্ত বালুবাহী লড়ি আর অটো স্টেশনের কারণে সীমাহীন ভোগান্তি যাতায়াতকারীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকে ট্রাক-বাস, মোটরসাইকেলসহ বিজয়পুর চিনামাটি পাহাড়ে যাওয়া পর্যটকদের গাড়ি। ধোবাউড়া বাজার সাতারখালী নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয় প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকে থাকায়, সেতুটি হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে জানান সচেতন মহল। যেকোনো সময় ভেঙ্গে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নদীর পূর্ব পাশের ইউনিয়ন পোড়াকান্দুলিয়া, গামারীতলা ও দক্ষিণ মাইজপাড়ার লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র ভরসা সেতুটির দুই পাশের অবস্থিত অটো স্টেশনের পাশাপাশি এলোপাথাড়ি চলছে বালু বোঝাই লড়ি। ফলে গোয়াতলা, মুন্সিহাট ও পোড়াকন্দুলিয়া সড়কের ধোবাউড়া বাজার ব্রীজ মোড়ে সৃষ্টি হয় ত্রিমুখী যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হয় সেতুর দুই পাশে অবস্থিত সরকারি আদর্শ কলেজ, মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও উপজেলাভিত্তিক বাজারে আসা নানা শ্রেণি পেশার মানুষদের। মহিলা কলেজের নুসাইফা জামান রিদিসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, যানজটে কথা চিন্তা করে ১ ঘণ্টা আগে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও অনেক সময় পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। পথচারী মাহাবুব আলম বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে অন্যান্য উপজেলা থেকে ভাড়াটিয়া লড়িও নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত লড়ির কারণে যানজটের তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন পথচারী ও মোড়ের পাশের দোকানীরা। ব্রীজ মোড় সংলগ্ন ফল বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মাঝেমধ্যে যানজট নিরসন হলেও বাকি সময় তাকে তীব্র যানজট। অনেকসময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্যারাডাইস ওপেন স্কাউট  শিক্ষার্থীরাও যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। প্যারাডাইস ওপেন স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খায়রুল ইসলাম রতন বলেন, যানজট নিরসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের দিয়ে ট্রাফিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চারা পরিপূর্ণ সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। স্থায়ীভাবে যানজট নিরসনের দাবি পথচারীদের।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: