রহস্যজনকভাবে গৃহবধূর মৃত্যুতে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির আলামতের প্রেক্ষিতে এটি আত্মহত্যা নয় বরং হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন চানপাগার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত মাকসুদা আক্তার (১৮)-এর ফুফু, বাবা হজরত আলী ও মা রেহেনা খাতুন জানান, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করার মতো এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে গা-ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করছে জামাই পরিবারের লোকজন। নিহতের মামা আবুল খায়ের বলেন, মাকসুদার স্বামীর বড় ভাই নাজমুল হোসেন ও হযরত আলী ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে নানা টালবাহানায় বুঝানোর চেষ্টা করে হঠাৎ পালিয়ে যায় তারা। নিহতের স্বামী নাঈম মিয়া (২৩) ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে। প্রথমে একাধিক লোকের সাথে বলে, ঘরে ঢুকে স্ত্রীর মরদেহ খাটে শুয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে বলে, স্ত্রীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ডাক চিৎকার করলে মাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। অফিসার ইনচার্জ আল-মামুন সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য স্বামী ও শ্বাশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
0 coment rios: