বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে এবং কারো কারো বাড়তে থাকে। তাই এটি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। খাদ্যাভ্যাস থেকে সুগারের লেভেলের সম্যক ধারণা, দুই দিক থেকেই সচেতনতা জরুরি। আমরা অনেকেই জানি না যে তরুণ-তরুণী থেকে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ, বয়সভেদে সুগার লেভেলের পরিসরে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে সকালেই পরীক্ষা করা উচিত। সকালে খালি পেটে সুগার লেভেল চেক করা ভালো।রাতের খাবার ও সকালের পরীক্ষার মধ্যে প্রায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত।
বয়স অনুযায়ী শর্করার মাত্রা কত হওয়া উচিত
- ০ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের রক্তে শর্করার মাত্রার ঝুঁকি অনেক কম। তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ১১০ থেকে ২০০ এমজি/ডিএল পর্যন্ত হতে পারে।
- ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ থেকে ১৮০ এমজি/ডিএল পর্যন্ত হয়।এই লেভেল থেকে খুব বেশি হলে বিপজ্জনক হতে পারে।
কোন সময় প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে
ডায়াবেটিস এমনই একটি নীরব রোগ, যার লক্ষণ শরীরে শুরু হলেই দেখা যায়। রক্তে ফাস্টিংএ শর্করার মাত্রা ৭০-১০০ এমজি/ডিএল-এর মধ্যে হওয়া উচিত। তবে এই মাত্রা ১০০-১২৬ এমজি/ডিএল-এ পৌঁছালে এটিকে প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এর পরে যদি শর্করার মাত্রা ১৩০ এমজি/ডিএল-এর বেশি হয় তবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।
কীভাবে ক্রমবর্ধমান সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়
যদি আপনার রক্তে শর্করা সীমান্ত রেখায় পৌঁছে যায়, তবে অবিলম্বে আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করুন। শুধু এটি করলেই ব্লাড সুগার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই রোগে প্রতিটি খাবার ও পানীয়ের প্রভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, চিনির মাত্রা সীমানায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করা, যোগব্যায়াম করা এবং সাইকেল চালানো শুরু করুন। এর পাশাপাশি খাবার সহজপাচ্য রাখুন। পুরোপুরি ফ্রায়েড ফুড বন্ধ করুন। খাদ্যতালিকায় সালাদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
রক্তে শর্করার কোন মাত্রা বিপজ্জনক
রক্তে শর্করার মাত্রা যা ধারাবাহিকভাবে ১৮০ এমজি/ডিএল (ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য) বা ১৪০ এমজি/ডিএল (নন-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য) এর বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হতে পারে। এই স্তরগুলো রক্তে শর্করার দুর্বল নিয়ন্ত্রণ নির্দেশ করে এবং অবিলম্বে সমাধান না করলে অনেক স্বাস্থ্য জটিলতা হতে পারে।
বয়স অনুসারে রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা জানা কেন অপরিহার্য
বয়স অনুসারে স্বাভাবিক রক্তে শর্করার মাত্রা বোঝার ফলে মানুষ তাদের স্বাস্থ্যকে কার্যকরভাবে নিরীক্ষণ করতে, সম্ভাব্য জটিলতাগুলোকে প্রথম দিকে শনাক্ত করতে এবং স্থিতিশীল রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে। এই জ্ঞানটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তাদের জীবনধারা ও ওষুধ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করে।
0 coment rios: